স্বদেশ রিপোর্ট ॥ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ১০ বছর ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও প্রবাসে বাংলদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর সাংগঠনিক অবস্থা দিনে দিনে নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। তৃতীয় বাংলা বলে বিখ্যাত যুক্তরাজ্যে মুক্তিযুদ্ধের সময়ে প্রবাসীরা যে ভাবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। বর্তমানে যুক্তরাজ্যের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের প্রজন্মের অনেকেই আওয়ামী লীগের আদর্শের থেকে নিজেদেরকে গুটিয়ে নিচ্ছে । , ফলে জামাত -বি যেন পীর আদর্শের পরিবার থেকে আগত অনেকেই এখন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোতে তাদের শক্ত অবস্থা করেনিচ্ছে । দিনে দিনে যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোতে দলে দলে হাইব্রিড , জামাত বি যেন পির নেতা কর্মীরা যোগদান করছে। বছর খানেক আগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যুদ্ধাপরাধী কিংবা জামায়াতে ইসলামীর কেউ যেন তাদের দলে যোগ দিতে না পারে। জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত এমন কোনো নেতার পরিবারের সদস্যদের আওয়ামী লীগে যোগদানের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার বার এসব সুবিধাবাদীর সম্পর্কে দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি-জামায়াত থেকে কাউকে দলে নিতে নিষেধও করেছিলেন । যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ বা তার সহযোগী সংগঠনগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেই নির্দেশ অমান্য করে চলেছে। যার ফলশ্রুতিতে অতি সম্প্রতি জননেত্রী শেখ হাসিনার লন্ডন সফরকালে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে বেশ কয়েকজন আওয়ামীলীগে যোগদানকারী বি এনপি -জামাত থেকে আগত নেতা কর্মী ও তাদের আশ্রয়দাতাদের প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ও বিশেষ কারণে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা কর্মীরা কালো তালিকা ভুক্ত করেন। এদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সায়েদ আহমেদ সাদ ,যুক্তরাজ্য ছাত্রলীগের সহ সভাপতি সরোয়ার আলম ও তার সহযোগী পিচ্চি টিপু , যুবদল থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগে আগত আলী মিয়া , সারওয়ার মিয়া। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের এক সাংগঠনিক সম্পপাদক এ ব্যাপারে জানান বাংলাদেশ হাই কমিশনে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুরকারীকে আশ্রয়প্রধান , তারেক রহমানের সহযোগীদের দলে পোস্ট প্রদান এবং হিজবুত তাহিরির সাথে সম্পৃতার কারণে যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সায়েদ আহমেদ সাদ ও অন্নান্যদেড় প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় হুমকির কারণে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বাহিনী তাদের আজীবনের জন্য কালোতালিকা ভুক্ত করেন। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ নাথ এমপিকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সায়েদ আহমেদ সাদের ব্যাপারে দ্রুত সিন্ধান্ত নেয়া হবে। এর ফলশ্রুতিয়ে বাংলাদেশ হয় কমিশনের ১৫ই আগস্ট অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ ও তার সকল সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে পারলেও যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক লীগকে ফুল দিতে দেয়া হয় নাই। এদিকে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীদের এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তারা জানান যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের গ্রূপিং ও সাংগঠনিক দুর্বললতাকেই দায়ী করেন। দলের একটি বৃহৎঅংশকে অন্ধকারে রেখে গুটি কয়েক ৪-৫ জনদের নিয়ে দল চালাচ্ছেন এবং যুবলীগ , ছাত্র লীগ , স্বেচ্ছাসেবক লীগ , যুব মহিলা লীগের নেতা কর্মীদের মাঝে গ্রূপিং করে কর্মীদের নিরুসাহিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। ত্যাগী নেতা কর্মীদের দূরে রেখে একক কৃতিত্ব নেবার চিন্তা এখন তাদের গলার কাটা দোয়া দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাজ্যের নেতা কর্মীরা এখন নেত্রীর মুখের দিকে তাকিয়ে আছে এই অদক্ষ , জামাত বি এন পির সাথে ব্যবসা- বাণিজ্যে করা এবং তারেক রহমানের ঝড়যন্ত প্রতিহত করতে অদক্ষদের বাদ দিয়ে অবিলম্বে একটি সম্মেলনের মাধ্যমে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লিগে কে রক্ষা করার দাবি জানান।